বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ওই এলাকার ‘কোরআন মঞ্জিল’ নামের বইয়ের দোকানের সামনে থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে, কখন কীভাবে ওই নারী সেখানে গিয়ে মারা গেলেন তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না বইয়ের দোকানের কর্মচারীরা।
মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য তা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় তার কাছে একটি ওষুধের প্রেসক্রিপশন (চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র) পাওয়া গেছে। সেখানে তার নাম লিখেছিল মরিয়ম বেগম (৩৫), প্রযত্নে আব্দুল হান্নান। তার বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে। তাই তাকে শনাক্তের জন্য এরই মধ্যে ওই এলাকায় খবর পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী অসুস্থ ছিলেন। তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে সোনাদীঘি এলাকার বিভিন্ন বইয়ের দোকানে সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছিলেন। বিকেলে কোনো একপর্যায়ে ওই বইয়ের দোকানের সামনে বেশি অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন পাশেই কর্তব্যরত থানা পুলিশকে খবর দেন। এ সময় বোয়ালিয়া থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এসএস/এএটি