নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উদ্যানে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, র্যাব সদস্যদেরকে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে দেখেছি। তবে তারা উদ্যান থেকে বের হয়েছেন কি-না তা দেখতে পায়নি।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে র্যাব সদস্যদের প্রবেশ করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন দু’জন পর্যটক। এর পরপরই তারা সেখান থেকে চলে এসেছেন বলেও জানান।
শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব সিলেট ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা জানান, কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অভিযান চলছে। তবে সেখানে অস্ত্র অথবা অন্যকিছু উদ্ধার হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি। অভিযানে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযানের বিষয়ে জানানো হবে।
২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র্যাবের সদস্যরা।
এরপর ১৬ অক্টোবর থেকে ৪র্থ দফার ১ম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুড়ে ৪র্থ দফায় ৩টি মেশিন গান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবারো সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
জেআইএম