মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে ওই সীমান্তের কাঁটাতারের কাছ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আব্দুল গণি ওই গ্রামের কৃষক আবু তাহেরের ছেলে।
গ্রামবাসী ও নিহতের ফুফাতো ভাই ইমাদুল ইসলাম জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামের আব্দুল গণিসহ চার কৃষক সোমবার রাত ১টার দিকে সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে ভুট্টার খেতে সেচ দিতে যায়। এ সময় তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়।
ধাওয়া খেয়ে অন্য তিনজন গ্রামে ঢুকে পড়লেও ধরা পড়ে আব্দুল গণি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে টেনে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। ভোরে গণিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়।
খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯/আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা
আরএ