মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর পতিয়াইনেন’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
এসময় আইএলও'র কান্ট্রি অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ আইএলও ঢাকা অফিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, মূলত দু’টি বিষয়ের ওপর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি দেখা করতে এসেছেন। আমরা এ সংস্থার কাছে যে কমিটমেন্ট দিয়েছি সেটা পূরণ করতে পেরেছি। এছাড়া আমাদের ওপর যে দায়িত্ব আছে সেগুলি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আইএলও প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অন্য সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
সুনির্দিষ্ট কোনো সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে সহযোগিতা চাওয়ার প্রয়োজন এখনও হয়নি। সব বিষয়ে তাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। কারণ আমরা যে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাচিভ করতে চাচ্ছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সেটা সফল করতে শ্রমিকদের যে অধিকার প্রয়োজন সেজন্য আইএলও'র সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটি নিয়েই আলোচনা করেছি ও সহযোগিতা চেয়েছি।
এ বিষয়ে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পতিয়াইনেন বলেন, আইএলও ইতোমধ্যে একশ বছর অতিক্রম করেছে। ১৯৭২ সাল থেকে আইএলও বাংলাদেশ সরকারকে ফলপ্রসূ সহযোগিতা করে আসছে। শ্রমিকদের সুরক্ষা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে আইএলও। সেটি আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে নজর দিচ্ছে। এক্ষেত্রে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রয়েছে। শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে আইন মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দফতরের মঙ্গে কাজ করবে আইএলও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
জিসিজি/এএ