মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পানিপার গ্রামের ফজল শেখের ছেলে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সঙ্গে মাঠে বসে গাঁজা সেবন করছিল জয়নাল শেখ। এ সময় বিজিবি-১ ব্যাটালিয়ন সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির একটি দল সেখানে গিয়ে তাদের মারধর করেন। পরিবারের অভিযোগ, মারধরের কারণেই পাঁচদিন অসুস্থ থাকার পর জয়নালের মৃত্যু হয়েছে।
কারণ ঘটনার পর থেকে অন্যদের মত বাড়িতে থেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন জয়নাল শেখ। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তির এক ঘণ্টা পরই তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাউল হাসান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার সময় জয়নাল শেখ সংজ্ঞাহীন ছিলেন। কমপ্লেক্সে ভর্তি করার প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ কতটা সত্য, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজশাহীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল বারী জানান, জয়নাল শেখ মাদকসেবী ছিলেন। জয়নালের মৃত্যুর বিষয়টি তারা পরিবারের মাধ্যমে নয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের মাধ্যমে জেনেছেন। পরে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
বিজিবি সদস্যদের মারধরের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কোনো মাদকসেবীর মৃত্যুর খবর তার কাছে নেই। আর বিজিবি সদস্যরা কাউকে মারধর করেছেন এমনটাও জানা নেই। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্তসাপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/