২৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে সোয়া ৮ টার সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. মিলনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা এবং মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা করেন তার মা এবং বোন।
এরপর পর্যায়ক্রমে ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, যুবলীগ ঢাকা উত্তর, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সাম্যবাদী দল, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতি, বিএনপি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৩৪ ব্যাচের মিলনের ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্ত বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তার রক্তদানের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
এ ঘটনার পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন গণ-বিস্ফোরণের রূপ ধারণ করে, ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়। ডা. মিলন নিহত হওয়ার দিনটিকে ‘মিলন দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দলগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আরকেআর/ওএইচ/