মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার পরে এ ঘটনা ঘটে। তবে, চুরির ঘটনা রহস্যজনক মনে করছে পুলিশ এবং এলাকাবাসী।
জিপি জুয়েলার্সের মালিক গৌতম পোদ্দার জানান, দোকান ও তাদের বাসা একইস্থানে। দোকানের দোতলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারা। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে চলে যান। বুধবার সকাল ৯টার দিকে দোকান খুলে দেখতে পান সিন্দুকের তালা ভাঙা এবং জানালার একটি গ্রিল কাটা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সিন্দুক তল্লাশি করে দেখতে পান ভেতরে থাকা ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। এরপর পরই কোতোয়ালি মডেল থানায় খবর দেন।
স্থানীয়রা জানান, নিচতলায় দোকান আর দোতলায় বাসা। কিন্তু চুরির ঘটনা পরিবারের কেউ টের না পাওয়াটা রহস্যজনক। তাছাড়া জানালার যে গ্রিলটি কাটা রয়েছে সেখান থেকে একটি শিশুর প্রবেশ করাও দুঃসাধ্য। আর সিন্দুকের সঙ্গে একেবারেই নিম্নমানের একটি তালা ঝুলানো ছিল। তাই ঘটনাটি দোকান মালিকের পূর্ব-পরিকল্পিত হতে পারে বলেও মনে করেন স্থানীয়রা।
এদিকে খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, জুয়েলারি দোকানে কোনো সিসিক্যামেরা নেই, থাকলে চুরি হয়ে থাকলে সেটা খুব সহজেই শনাক্ত করা যেতো।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জুয়েলার্সের মালিককে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দোকান মালিক মামলা করার জন্য আসেননি। মামলা হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএস/এএটি