ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ যৌথভাবে উদযাপন করবে। ইউনেস্কোর সদরদপ্তর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের সভাপতি আলতে চেঙ্গিজারের সভাপতিত্বে ইউনেস্কো মহাপরিচালক মিজ অদ্রে আজুলে এবং বিভিন্ন কমিটি ও কমিশনের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্লেনারি সেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাস হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে ইউনেস্কো যুক্ত হওয়ায় আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপনকালে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন আরও ব্যাপক পরিসরে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হলো।
 
বাংলাদেশের এ বিশাল অর্জনের ঐতিহাসিক মুহূর্তে ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার শামিমা সুলতানা, প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব নির্ঝর অধিকারী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রস্তাবনাটি দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের এ প্রস্তাবটি ইউনেস্কোতে উদযাপনের জন্য ভারত, জাপান, পোল্যান্ড, কিউবা এবং নেপাল কো স্পনসর করে। এ বছরের এপ্রিল মাসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ২০৬তম ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ড সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথভাবে উদযাপনের প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর  ইউনেস্কো সাধারণ সভার চলতি অধিবেশনের প্রোগ্রাম এবং বাজেট সম্পর্কিত এপেক্স কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবনাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশসহ প্লেনারি সেশনে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়। এ সার-সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী  ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথভাবে উদযাপনের জন্য ইউনেস্কোতে পাঠানো একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের মহাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনকে আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনজুর হোসেনকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তাবনা প্রস্তুত কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রস্তাবনা প্রস্তুতি কমিটি দু'টি সভার মাধ্যমে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর  বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত সভায়  প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক শিক্ষা সচিব এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বিশেষ আমন্ত্রণক্রমে উপস্থিত ছিলেন।
 
সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত চূড়ান্ত প্রস্তাবনা  প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি সদয় অনুমোদনের একদিন পর বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন কর্তৃক প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এমইউএম/এমআইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।