বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান দিনটি ধার্য করেন।
এদিকে চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকায় সকালে বরগুনা কারাগারে থাকা আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে পাঁচ নম্বর পলাতক আসামি মুসা ব্যতীত অন্যসব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে শুনানিতে বাদি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত অধিকতর শুনানি ও চার্জ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি ২০২০ এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতে উপস্থিত থাকা আট আসামির মধ্যে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত এবং নয় নম্বর আসামি সাগর জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে, ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের চার্জ গঠনসহ বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এ দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর অন্য সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯), মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এনটি