তিনি বলেন, নামজারির জন্য কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না। পর্যায়ক্রমে অন্য ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে এসে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও পেপারলেসে ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বের) রাজধানীর নীলক্ষেতে অবস্থিত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সে অংশগ্রহণকারী সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আপনারা অধস্তনদের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালনা করবেন। তারা যেন আপনাদের কোনো সমস্যায় ফেলতে না পারে কিংবা বিপথে পরিচালনা না করতে পারে- এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন। একইসঙ্গে তিনি এসিল্যান্ডদের কর্মস্থলে নবনির্মিত উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলো বুঝে নিতে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন ভালো থাকেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদয় হয়ে গণকর্মচারীদের বেতন বাড়িয়েছেন। সুতরাং, আমি সবার মধ্যে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, কেউ দুর্নীতি করে পার পাবে না। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
এ বছরের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশের ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিস এবং ৩ হাজার ৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ অপ্রতুল হবার কারণে অনলাইনের বদলে ম্যানুয়াল আবেদনপত্র (কাগজে) গ্রহণ করা হচ্ছে। ই-নামজারি কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ কোটির অধিক নাগরিককে সেবা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/