শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কাঠামোর (খসড়া) প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করা ও ২৫ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এই অভিযোগ তদন্ত করতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিচারপতি নিজামুল হককে নিয়ে কমিটি গঠন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে আনা সেই অভিযোগ তদন্তে কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। পরে আমাদের কমিটি দুটি বিষয়ে পর্যালোচনা করেছে। কমিশন তাকে তলব করার পর তুরিন আফরোজ তার জবাব দিয়েছেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ার পরও আজ বলতে হচ্ছে, তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে আসামির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
আইনে বলা আছে, প্রসিকিউটররা তদন্ত করতে পারবেন। আমাদের কমিশন মনে করছে তদন্ত করার বিষয়টি তুরিন আফরোজ তার চিফ প্রসিকিউটরকে জানাননি। এবিষয়ে তাকে সর্তক করা হয়েছে। প্রসিকিউটরের অনুমতি ছাড়া আসামির সঙ্গে দেখা করা তার ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরনের কিছু করতে হলে তিনি যেন চিফ প্রসিকিউটরের অনুমতি নেন। এটা আমরা করেছি নিজস্বভাবে।
‘২০১৮ সালের এপ্রিলে অভিযোগ উঠে, মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলেন তুরিন। পরে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখাও করেন। ওই অভিযোগ ওঠার পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল ও তুরিনের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিও রেকর্ডসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর চলতি বছরের ১১ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তুরিন আফরোজকে। ’
শাহরিয়ার কবির বলেন, আমি মনে করি তুরিন আফরোজ আমাদের সঙ্গে থাকবেন, কাজ করবেন। তাকে আমরা আর্ন্তজাতিক আদালতে রোহিঙ্গাদের বিচারের জন্য প্রস্তুত করছি। আইনি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এসই/জেডএস