তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাপানের মতো একটি ভূমিকম্প-দুর্যোগসহনীয় দেশ উপহার দিতে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসাবে পুরনো ভবনগুলো সংস্কার করে ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কিত উপ-আঞ্চলিক কর্মশালা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো বক্তৃতা করেন প্রিজম কলকাতার নির্বাহী পরিচালক ড. অনিরুদ্ধ দে এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগসহনীয় জাতি গঠনে সরকার কাজ করছে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। বন্যা, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় ছাড়াও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছি আমরা। মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ হবে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। তাই ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মহাদেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আইপিসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে এবং এর ফলে পাহাড়ে জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ বর্তমান সময়ের তুলনায় বার্ষিক গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১ থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম আবহাওয়ার কারণে তীব্র বন্যা ও সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে চরমভাবে, যা জনগণের জন্য দুর্যোগ বয়ে আনবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনজীবনের সবক্ষেত্রে যেমন দারিদ্র্য কমানো, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসহ প্রশাসনিক সবক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলায় প্রায় ৪ কোটি লোকের বসবাস। এদের ভবিষ্যতের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি রিসাইলেন্স’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস