ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গবাদিপশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের শঙ্কা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
গবাদিপশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের শঙ্কা

ঢাকা: কমছে তাপমাত্রা। সঙ্গে শুষ্ক হয়ে উঠছে আবহাওয়া। এই অবস্থায় গবাদিপশুর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যেতে পারে। তাই যত্ন নিতে হবে এখনই।

কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটিই জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে দেশের অনেক জায়গায়।

আবহাওয়াবিদ কাওসার পারভীন জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের দৈনিক উজ্জল সূর্যকিরণের গড় স্থায়িত্বকাল ছিল ৬ দশমিক ২৫ ঘণ্টা থেকে ৭ দশমিক ২৫ ঘণ্টা। আর গড় বাষ্পীভবন ছিল ২ দশমিক ৬১ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৫০ মিলিমিটার।

এই অবস্থায় কৃষি আবহাওয়ার মূখ্য পরামর্শে গবাদিপশু ও ফসলের পরিচর্যার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে গবাদিপশুর যাতে নিউমোনিয়া না হয়, সেজন্য রাতে চটের বস্তা জড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়া তরকা, পিপিআর ও খুরা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে গবাদিপশুকে দিতে হবে নিয়মিত টিকা। গোয়াল ঘরের মেঝে ও চালা পরিস্কার রাখতে হবে। পশুকে দিতে হবে কৃমিনাশক।

আমন ধান:

আমন ধান সংগ্রহ করার অন্তত ১৫ দিন আগে সম্পূর্ণরুপে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। ৮০ শতাংশ ফসল পাকলে তা কাটতে হবে। একইসঙ্গে কালো শীষ পাওয়া গেলে তা পোড়াতে হবে। ইঁদুরের আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে বিষটোপ ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া বলা হচ্ছে- মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধী পোকা, বাদামী গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণের থেকে রক্ষার জন্য আলোক ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ব্লাস্ট রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতে হবে এডব্লিউডি পদ্ধতি। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতি লিটার পানিতে শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউজি/ট্রুপার অথবা ১ মিলি এমিস্টার টপ ৩২৫ এসপি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। রোগের মাত্রা অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ দিন পরপর এবং কার্যকর রোগ নিয়ন্ত্রণে বেলা তিনটার পর স্প্রে করতে হবে।

গান্ধী পোকার আক্রমণ ও বাদামী গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গান্ধী পোকা দমনে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি ম্যালথিয়ান অথবা ২ মিলি ক্লোরপাইরিফিস মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আর বাদামী গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণ হলে ২ দশমিক ৫ গ্রাম আইসোপ্রোকার্ব বা ২ দশমিক ৫ গ্রাম ইমিডাক্লোরোপিড মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

সবজি:

ফুলকপি, বাঁধাকপিতে কালো পঁচা রোগ দেখা দিলে ১০ লিটার পানিতে ১ গ্রাম স্ট্রেপ্টোসাইক্লিন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। বেগুন, টমেটো, ঢেঁড়শে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিলে প্রতি হেক্টর জমিতে ২০টি করে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ‍আর ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে জাবপোকা ও জ্যাসিডের আক্রমণ দেখা দিলে নিমের তেল ও ডিটারজেন্ট মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে আগামী পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
ইইউডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।