জানা যায়, দামোদর নদীর ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার সেতুটি নির্মাণ করার জন্য কার্যাদেশ পান আব্দুর রব সিকদার নামে এক ঠিকাদার। ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করার কথা ছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় চলাচলের জন্য নিজেদের উদ্যোগে ‘আলমগীর ফকির সেতু’র ওপর কাঠের পাটাতন তৈরি করেছে স্থানীয়রা। সেখান দিয়ে ছোট খলিসাখালী, বড় খলিসাখালী, কুমারখালী গ্রামের মানুষ পারাপার হয়।
ছোট খলিসাখালী গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সেতুটি দিয়ে তিন গ্রামের মানুষ শহরে, হাসপাতাল ও অফিস আদালতসহ স্কুল কলেজে যাতায়াত করেন। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
পিরোজপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ফকির বাংলানিউজকে বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। পৌরসভায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ করতে পারছেন না।
ঠিকাদার আব্দুর রব সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
পিরোজপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীমুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সেতুর অসমাপ্ত কাজ ঠিকাদার শুরু করবেন। বিষয়টি যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
পিএস/এনটি