মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ সড়কে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স ননএমপিও শিক্ষক ফোরাম জেলা শাখা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন নেতারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক আব্দুল কাদের বিশ্বাস, সেক্রেটারি প্রভাষক মো. শাহীনুর রহমান সহসভাপতি প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক আব্দুল হালিম, প্রভাষক মেহেদী হাসান, প্রভাষক বাবর আলী মালিথাসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে পাবনা কলেজ, শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি অনার্স কলেজ, ঈশ্বরদী ডিগ্রি অনার্স মহিলা কলেজ, হাজী জসিম উদ্দিন ডিগ্রি অনার্স কলেজ, দেবোত্তর ডিগ্রি অনার্স কলেজ, টেবুনিয়া শামসুল হুদা ডিগ্রি অনার্স কলেজ, চাটমোহরের প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি অনার্স কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় শতাধিক ননএমপিও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোর অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে শতভাগ বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এবং সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর অধ্যায় ৮, কৌশল ৬ (পর্যায়ক্রমে ডিগ্রি পাস কোর্স তুলে দিয়ে চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চালু করা হবে) বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং বেসরকারি কলেজে উচ্চশিক্ষায় পাঠদান করে আসছেন। কিন্তু উল্লেখিত বিষয়ে বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত বা কোনো নির্দেশনা না থাকায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। ফলে, দেশের সাড়ে তিন হাজার অনার্স-মাস্টার্সের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক আর্থ-সামাজিক ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিকবার নির্দেশনাও রয়েছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন ননএমপিও শিক্ষকেরা। জেলার প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষক এই মানবন্ধনে আংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআর/এফএম