রোববার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ ওয়ালিদ হাসন লাবুর সঞ্চালনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তামজীদ হায়দারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, সহ-সভাপতি দীপক শীল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী শেখর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে নারীদের উপর সহিংসতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তনু, আফসানাসহ অধিকাংশ ধর্ষণের মামলাতেই এই বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা বিকৃত অপরাধীর মানসিকতার মানুষদেরকে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে অভয় দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে। এই রাষ্ট্র নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।
তারা বলেন, অবিলম্বে রূম্পাসহ সব নারী সহিংসতা, গুম, খুন ও ধর্ষণের যথোপযুক্ত বিচার এবং ধর্ষকদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র ইউনিয়ন সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে নারী নিপীড়নবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং সব ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দেবে।
অপরদিকের তিনদফা দাবিতে একই স্থানে সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দাবিগুলো হলো- দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ ও আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার, ছাত্রজোট নেতা অনিক রায়ের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা বাতিল এবং বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল।
এতে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নাসির উদ্দীন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের মেহেদী হাসান নোবেল, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস