মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসিম কুমার উকিল, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
সোনারগাঁ কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ জানান, এবার মেলায় বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬৪ জন কারুশিল্পী প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। তাদের জন্য ৩২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশীপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশীকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশী হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটাশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মেলায় মোট ১৫৪টি স্টল স্থান পেয়েছে।
এছাড়া লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভাণ্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেলায় আসা দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
আরবি/