পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভাষাসৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাস বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছিলেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্প্রতি তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
ভাষাসৈনিক নাজির হোসেন ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৫৫ সালে মেহেরপুর উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি মডেল স্কুলের ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করতে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল নিয়ে বের হয়। এসময় শিক্ষকরা শত বাধা ও ভয়ভীতি দেখিয়েও তাদের একুশে ফেব্রুয়ারি পালন বন্ধ করতে পারেননি।
শিক্ষকদের আদেশ অমান্য করে একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে নাজির হোসেন বিশ্বাসসহ সামসুল আলা, গোলাম কবির, আবুল কাশেম, আঙ্গুর, কদম রসুল ও ইসমাইল হোসেনসহ ছাত্ররা মিছিল করে। এ অপরাধে রাতেই তাদের আটক করা হয়। পরে বিদ্যালয় থেকে তাদের রাসটিকেট দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় নাজির হোসেন ছিলেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
ভাষা সৈনিক নাজির হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আরএ