শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ার সকলের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা ঐক্যবদ্ধভাবে দূর করি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশে কমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনডিপি ও অক্সফোর্ড মানব উন্নয়ন উদ্যোগের বিশ্বব্যাপী বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সূচক ২০১৮ সালের এক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। বিগত দুই দশকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অংশে ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩৩ দমমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, জাতি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা মিলে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এমন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য।
স্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, এ দেশের মানুষ বহুমাত্রিক বৈষম্যের শিকার। পিছিয়ে থাকা, পিছিয়ে রাখা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের কীভাবে মূলস্রোতে আনা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, বাংলাদেশ ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্য বাড়ছে। মিলয়নিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে বেশি। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণ খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য কমবে না বরং বাড়বে।
সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্যাপের কোর কমিটির সদস্য ও ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাক আলী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, শিশু সংগঠক ও খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
পিএস/এইচএডি/