গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য রয়েছে মাত্র ২০টি আসন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকরা জানান, হঠাৎ করে পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি শুরু হয়ে দেখা দেয় ডায়রিয়া। প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ সুলতান আহম্মদ বাংলানিউজকে জানান, শীতকালের শেষে রোটা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা এই ডায়রিয়ার বেশি আক্রান্ত হয়। সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত এ ডায়রিয়ার স্থায়িত্ব থাকতে পারে। শিশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ৪০-৫০টি শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে একদিকে শিশু-অভিভাবকদের কষ্ট হচ্ছে অপরদিকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এনটি