ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
দেশের ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশের স্বাদুপানির ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। এর মধ্যে ৯টি প্রজাতির মাছ অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫টি শঙ্কাগ্রস্ত বলেও তিনি জানান।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

এদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী, দেশে স্বাদুপানির ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে। এর মধ্যে নয়টি অতিবিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫টি শঙ্কাগ্রস্ত। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত কাপ্তাই লেকে প্রায় ১৩ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে।

তিনি আরও জানান, অবাধ প্রজনন ও বিলুপ্তির পথে মাছ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কাপ্তাই লেকে ৭টি অভয়াশ্রম ও ৬টি ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ আছে। ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টারের মাধ্যমে করপোরেশন অভয়াশ্রমগুলোর পাহারা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে কাপ্তাই লেকে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতি রক্ষার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৪৩২টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের অপর সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম এবং এ চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম। এ হিসাবে দেশে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এ সময়ে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।