বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিশুর মরদেহের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ইসমাইলের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায়।
দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, গত দুই বছর যাবত দারুস সালাম টোলারবাগ এলাকার একটি বহুতল ভবনের ১০ তলায় গৃহকর্তা শফিকুল ইসলাম ও গৃহকর্ত্রী মলি বেগমের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল নিহত শিশু ইসমাইল ।
এসআই জানান, শফিকুল-মলি দম্পতির দাবি মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ছাদের রডের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে ইসমাইল। পরবর্তী সময়ে বাসার লোকজন ছাদে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পায়। পরে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল থেকে ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, শুরুতে শিশুটির পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল তার মরদেহ। পরে পরিবারের লোকজন গেলে সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এ ঘটনায় প্রচলিত নিয়মে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ইসমাইলের আত্মহত্যার কারণ জানার জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এজেডএস/এইচজে