তিনি বলেন, নানা জটিলতায় ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির নতুন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না দেয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) বিপুল সংখ্যক আবেদন জমে গেছে। তাই আন্তর্বর্তীকালীন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দফতর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লাইসেন্স তৈরির প্রতিষ্ঠান নিয়োগে আমাদের নতুন করে টেন্ডার করতে হয়েছে। আগের টেন্ডার যথাযথ হয়নি, কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মতো টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই লাইসেন্স কার্ড সংগ্রহে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে।
তিনি বলেন, এখন আমরা চার লাখ লাইসেন্স কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে। প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে। খুব দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন ৪ লাখ লাইন্সের কার্ড মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি সরবরাহ করবে। আমি নিজে এমডির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রস্তাব পাঠিয়েছে, সেই প্রস্তাব ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় পাস করার জন্য আমরা পাঠাচ্ছি।
গাড়ির ফিটনেট সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীভূত করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কোন জেলা থেকে ফিটনেস সনদ দেয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ফিটনেস সনদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ২ বছর করা হয়েছে। অর্থাৎ ২ বছর পর পর ফিটনেস সনদ নেবে ব্যক্তিমালিকানাধীন যানবাহন। ফিটনেস খেলাপীদের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
জিসিজি/এজে