এছাড়াও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বন্ধক রেখে টাকা আত্মসাৎ, অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসাসহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজ অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
জানা যায়, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাৎসরিক শিক্ষা সফরে যাওয়ার দিন ধার্য ছিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তবে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য ছাত্রদের চুল ছোট করে কাটার নির্দেশ দেন। শিক্ষা সফরের আগের দিন রোববার তিনি বিদ্যালয়ে এসে দেখেন অনেক ছাত্রই চুল ছোট করেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণির ২২ ছাত্রকে ধরে এনে পর্যায়ক্রমে নিজ হাতেই কাচি দিয়ে চুল ছেটে দেন।
খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাসসহ পুলিশ সদস্যরা বিদ্যালয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে ইউএনও ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে এসে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
ছাত্রদের অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে তারা বাড়ি ফিরে চুল ছোট করতে চেয়েছিল। রোববার ক্লাসের শুরুতে প্রধান শিক্ষক চুল না কাটায় বকাঝকা করেন এবং পিয়নকে দিয়ে কেচি আনিয়ে নিজেই চুল কাটা শুরু করেন। প্রধান শিক্ষক কারো মাথার পুরো চুল, কারো একপাশের বা কারো সামনের চুল কেটে দেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি কোনো ছাত্রদের জোর করে চুল কেটে দিতে পারেন না। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এনটি