লোহার পাটাতনের পরিবর্তে সেতুর প্যানের জোড়ায় (এক্সপানশন জয়েন্ট) বাঁশ ব্যবহার করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ব্যবহৃত বাঁশের ওপর সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছেন সওজের শ্রমিকরা।
সেতুটিতে সওজের কর্মরত শ্রমিকরা বাংলানিউজকে বলেন, ওভারলোডেড গাড়ি চলাচলের কারণে লোহার পাত উঠে গেছে। সেই পাত চুরি হয়ে যাওয়ায় পাটাতনের ফাঁক সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করার জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের সওজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, লোহার পাত দিয়ে লাগানো স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় তা চুরি হয়ে যায়। এজন্য ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ দেওয়া হয়েছে।
সওজ সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুল মজিদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ওভারলোডেড গাড়ির কারণে সেতুর জয়েন্টের লোহার পাতগুলো ভেঙে উঠে যায়। ফলে নতুন করে ওই পাতগুলো লাগানো সম্ভব হয় না, তাই বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ ঢালাই দেওয়া হয়। কাজটি অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী। তবে নষ্ট হয়ে গেলে আবার ঢালাই দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কেবল শাহজালাল তৃতীয় সেতু নয়, কুশিয়ারার ওপর শেরপুর সেতুসহ সুরমার ওপর অন্য সেতুগুলোতেও এভাবে কাজ করা হয়েছে।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজগুলোতে আরসিসি ঢালাইয়ে কাজে বাঁশ দেওয়া ঠিক নয়। লোহার পাটাতন লাগাতে গেলে ফের বরাদ্দ দরকার, এসব করতে গিয়ে অনেক সময় কাজ করা যায় না, তাই আপাতত বাঁশ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও টেকসই নয়। এটি নষ্ট হলে আবারো করবো।
এ বিষয়ে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এনইউ/আরআইএস