সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিম রেজা রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাহফুজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত মাহফুজ, প্লাবন তালুকদার (২১), রাফসান (২১), জীবন (২৫) ও অজ্ঞাত হিসেবে জয় নামে একজনকে গ্রেফতার করে। প্লাবন ও রাফসান রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর সঙ্গে পাঁচ মাস আগে মাহফুজের বন্ধুত্ব হয়। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে মাহফুজ গল্প করার কথা বলে নগরীর কাজলা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় আগে থেকেই মাহফুজের বন্ধু প্লাবন তালুকদার অবস্থান করছিল। তারা বাসায় উপস্থিত হওয়ার পর প্লাবন বাইরে যায়। তখন মাহফুজ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় প্লাবন, রাফসান, জীবনসহ বেশ কয়েকজন কৌশলে ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করে। তারা মাহফুজকে মারধর করে এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছে থাকা ১৫শ টাকা ও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।
এ বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ও তার বাবা-মা থানায় এসে ৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এর পরই অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মাহফুজুর রহমান, তার সহযোগী প্লাবন তালুকদার ও রাফসানকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ছবি ধারণ করা মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জীবন ও জয়কে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হলে মূল আসামি মাহফুজুর রহমানের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তাকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ