পরে কলেজ প্রশাসন ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উৎপাত ও কলেজ ছাত্রের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের (ফাহিম ও জাফর) মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আর ওইদিনই উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সুরাহাও করে দেয় কলেজ প্রশাসন।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর সূত্র ধরেই বুধবার দুপুরে আলিফ হোসেন হীরা নামে বহিরাগত একজনের সঙ্গে কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী জাফরের বাগবিতণ্ডা হয় এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জাফর আহতও হন।
এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যার পর হীরা তার সহযোগীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ কর্মী জাফর ও তার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
পরে কলেজ অধ্যক্ষ ও কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে নেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো আমরা শুনেছি, বিষয়গুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিপত্য বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে এবং আইনগত পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএস/এমএ