বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্বপালনকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারে নিউজটোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার ও ক্যামেরা পারসনের ওপর হামলা চালায় বন্ডের অবৈধ সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও সন্ত্রসীরা।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজোয়ানুল হক বলেন, সম্প্রতি সাংবাদিকদের ওপরে হামলা ও নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ঢাকা সিটি নির্বাচনের দিন এবং পুরনো ঢাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও ক্যামেরা কেড়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়া ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় আমরা সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন। এ সমস্ত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তারা ভয় পেতেন।
প্রতিউত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে প্রত্যেক ঘটনার পরপরই আমি নিন্দা জানিয়েছি। এ ধরনের ঘটনা সত্যি অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সরকারও এ ক্ষেত্রে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যে হামলা হয়েছিল সেই হামলার পেছনের যারা যুক্ত ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরনো ঢাকার ঘটনা নিয়েও গ্রেফতার হয়েছে। সরকার দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কাউকে বাধা দেয়া কখনও সমীচীন নয়, সেটি যে পেশাই হোক। আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, আজকে আবারও বলবো- এ ধরনের ঘটনা সরকার কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধ পরিকর। ’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টেলিভিশন ও বেতারের বিকাশের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য অনেক কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। এতোগুলো রেডিও এবং টেলিভিশনের বিকাশ ঘটেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ৩৪টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, ২২টি এফএম বেতার কেন্দ্র ও ১৮টি কমিউনিটি চালু আছে। লাইসেন্স রয়েছে আরও অনেক বেশি।
এসময় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারকে পেশাগত কাজের পাশাপাশি জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি