শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে।
তিনি বলেন, বনের ভেতরে নৌপথ অব্যবস্থাপনা, নদীর পাড় ভাঙন, দুর্ঘটনা, সুন্দরবনে অতিরিক্ত নৌযান চলাচল, পানি দূষণ, বনের পানিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা ও অগ্নিসংযোগ করে বন ধ্বংস করা হচ্ছে। সুন্দরবন কেবল বাংলাদেশ নয়। বিশ্ববাসীর সম্পদ। আমরা বনের গর্বিত অভিভাবক। সুন্দরবন রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সুন্দরবন রক্ষায় নয় দফাগুলো হলো- উজানের বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সফল আলোচনার মাধ্যমে সুন্দরবনের জন্য মিঠা পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাতিল করতে হবে। সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন পরিকল্পিত সরকারি-বেসরকারি সব প্রকল্প স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ, বাতিল ও অপসারণ করতে হবে। বনের পাশ ঘেঁষা সব শিল্প ও আবাসন প্লট বাতিল করতে হবে। অপরিকল্পিত গাছ কাটা, পশুপাখি হত্যা ও মাছ ধরা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবনের মধ্যকার নৌ চলাচল রাশ, নৌ দুর্ঘটনা প্রশমন, সুন্দরবনের নদীতে ডুবে থাকা নৌ যান অপসারণ করতে হবে। সুন্দরবনে পর্যটন সংখ্যা সীমিত করতে হবে, জলাধার দূষণ ও চিংড়ি চাষ বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবন নির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকৃতির জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। বন বিভাগের জনবল বাড়ানো ও তাদের কাজের পরিধি, একাগ্রতা, সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীন ভয়েস ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বাপার আজীবন সদস্য রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
পিএস/আরআইএস/