ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদী দূষণমুক্ত-নাব্যতা ফেরাতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
নদী দূষণমুক্ত-নাব্যতা ফেরাতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কমিটি

ঢাকা: পদ্মা ও মেঘনাসহ ঢাকার আশপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, পুংলীসহ সব নদীকে দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় জানানো হয়, দখল, দূষণরোধ ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর জন্য একটি এবং কর্ণফুলী নদীর জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন হয়েছে আগেই। তৃতীয় মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, তুরাগ ও পুংলী নদী নিয়ে। সভায় তৃতীয়টির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কী কী কাজ হচ্ছে সেটা নিয়ে আমরা আজকে পর্যালোচনা করেছি। কর্ণফুলী ও মেঘনা নদী একইভাবে দূষণমুক্ত করতে মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত করে নিয়েছি।

‘যাতে নদীতে দূষিত বর্জ্য না যায় এবং নদীর নাব্যতা যাতে ফিরে আসে সেজন্য খনন, দুই পাড়ে ওয়াক ওয়ে তৈরি, প্রবাহ ঠিক করা, শিল্প- গৃহস্থালির বর্জ্য না যায় সেজন্য কাজ করছি। ’

নদীর জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেযাদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ মেয়াদীর লক্ষ্য হলো একেবারে সম্পূর্ণ নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় কাজ ভাগ করে দিয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করবে এবং বাজেট প্রণয়ন করবে। আর মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনায় কার্যক্রম আরম্ভ করা। দশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

ঢাকার খালগুলো দখল নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, খালগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার শুরু হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ করবো। আপনারা যে দখলের কথা বলছেন- আমার মনে হয়, এখন পুনর্দখল হয়েছে বলে তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সভায় খাল দখলমুক্ত করার জন্য আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা ভূমি দখল করেছে, খাল দখল করেছে এগুলো উচ্ছেদ করার জন্য মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দূষণের হাত থেকে বুড়িগঙ্গার অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কতোদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার আশপাশে প্রচুর শিল্পকারখানা আছে। বুড়িগঙ্গাতে আমাদের গৃহস্থালির বর্জ্য যায়। এ সমস্ত অনেক বিষয় আছে, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

লন্ডনের টেমস নদী সম্পূর্ণ নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫০ বছর লেগেছে, সাংহাই নদীও ৪০ বছর লেগেছে। আমরাও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। স্বল্প মেয়াদী ফলাফল মানুষ পাচ্ছে।

সভায় স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।