শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আড়াইহাজার উপজেলার আলাল বদরপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল বাংলানিউজ জানান, গ্রেফতার আলালকে আদালতে পাঠানো হবে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় মেঘনায় ডুবে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির সিরাজী নিহত হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর ২০১৩ সালে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সেই সঙ্গে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় প্রথম এজাহারে থাকা ৩৩ জনকে।
সাক্ষীদের সাক্ষ্যর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টির প্রতি একমত হওয়ায় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ১৭ জুন সিরাজীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট চারজন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর পঞ্চম কর্মকর্তা আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন শেখ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন।
চার্জশিটে মামলাটির সাক্ষী করা হয়েছে ৪৫ জনকে।
চার্জশিটভুক্ত ১৩ আসামি হলেন, সিদ্দিক, আলেক, লিয়াকত, জসিমউদ্দিন জসু, কালাম, মোবারক, জুয়েল, জলিল, মোয়াজ্জেম, সুহেল, মোস্তফা, আলম ও রমজান।
চার্জশিট থেকে বাদ পড়া আসামিরা হলেন- আলম, আহসানউল্লাহ, শফিকুল, ফিরোজ মিয়া, ফাইজুল হক ডালিম, মো. জালাল, আবুল বাশার, কবির, রশিদ, রুকু মিয়া, রব মিয়া, রুবেল, রমজান, সামছুল হক, সবুজ, ফারুক, খলিল, ইসলাম, আলম, মিজান, রতনসহ ৩৩ জন। আসামি ও অব্যাহতি পাওয়া সবাই কালাপাহাডিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৭ জুন দিনগত রাত ২টায় আড়াইহাজার উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া কদমীর চর এলাকায় আসামি ধরতে বিশেষ অভিযানে যান এসআই আহসানউল্লাহর নেতৃত্বে এসআই নাসির সিরাজী, রফিকুল ইসলামসহ কনস্টেবলরা।
অভিযানে পুলিশ কালাপাহাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম ফাইজুল ইসলাম ডালিমের সমর্থক চারজনকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে ট্রলারযোগে ফেরার পথে মেঘনা নদীর কালাপাহাড়িয়া এলাকায় আসামি পক্ষের ৪০-৫০ জন লোক ইটপাটকেল, বলম, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে বালুবাহী (বাল্কহেড) পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
হামলায় এসআই রফিকুল ও আহসানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকার ৩৪ ঘণ্টা পর খাগকান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া মেঘনা নদীর তীর থেকে এসআই নাসির সিরাজীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানউল্লাহ বাদী হয়ে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ওই সময় নিহত নাসির সিরাজীর স্ত্রী কোহিনূর সিরাজী, ছোট ছেলে ফয়সাল সিরাজী ও এক মাত্র মেয়ে নাহিদা সুলতানা দাবি করেছিল এসআই নাসির সিরাজীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
আরআইএস/