সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জুনায়েদ হোসেন ইমনের বাবা গফুর হোসেন জানান, বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে জুনায়েদ।
এর আগে, রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বারইপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জুনায়েদ হোসেন ইমন আশুলিয়ার বারইপাড়া পশ্চিমপাড়ার গফুর হোসেনের ছেলে। সে অঞ্জনা মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। মঙ্গলবার জুনায়েদের শেষ পরীক্ষা।
আহত জুনায়েদের বাবা গফুর বাংলানানিউজকে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় জুনায়েদ বারইপাড়া পশ্চিমপাড়া থেকে পূর্বপাড়া যাচ্ছিল। এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উপর নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হতে গেলে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগের সঙ্গে স্পর্শ লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় জুনায়েদ। পরে স্থানীয়রা রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, আমি হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার বলেছেন আমার ছেলের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ব্রিজ তৈরির পর বিদ্যুৎ সরবরাহের তার রেখে দেওয়ায় আজ আমার ছেলের এ অবস্থা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফুটওভার ব্রিজের পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই তারা দুই পাশের সিঁড়ি খুলে রেখেছে। আবার পূর্ব পাশের দিকে বিদ্যুতের লাইন থাকায় সেখানে কাজও করেনি। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার।
জুনায়েদের এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলী আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি, আসলে নির্মাণাধীন ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবসত এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ব্রিজের দু'পাশের গেট বন্ধ করে রেখেছিলাম আগে থেকেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা অফিসে সবার সঙ্গে কথা বলছি। পরর্বর্তীকালে ছেলেটির স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
আরএ