তিনি বলেছেন, এখানে সাংবাদিকদের স্বার্থকেও আমাদের দেখতে হবে। আবার যারা মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের বেতন ভাতা দেবেন তাদের সঙ্গেও কিছুটা বোঝাপড়ার বিষয় আছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পড়ুন>> ‘মুজিববর্ষে ভারতের প্রতিনিধি বাদ দেয়ার চিন্তাও করা যায় না’
নবম ওয়জবোর্ড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নবম ওয়জবোর্ড এর বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন মন্ত্রিসভা কমিটি ফাইনালি দেখে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, একটা অ্যাডজাস্টমেন্টের (সমঝোতা) চেষ্টা করেছে দুই একটা বিষয়ে অ্যামেন্ডমেন্ট (সংশোধন) করে। সাংবাদিক ইউনিয়ন এর বিরুদ্ধে আবার রিট করতে গেছে।
‘এখন আমাদের যেকোনো ব্যাপারে বাস্তববাদী হতে হবে। কারণ আপনি নেবেন কিন্তু যিনি দেবেন, তিনি দেবেন কিনা! তারাও আবার তাদের পক্ষ থেকে মামলা করেছে। এর একটা সমাধান খুঁজতে হবে। সমাধানের জন্য আমরা রিয়ালিস্টিক অ্যাপ্রোচ থেকে চেষ্টা করেছি। ’
নবম ওয়েজবোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাঁটাই চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া তো তাদের (মালিকপক্ষ) হাতে। তারা মামলায় যাবেন ছাঁটাই করবেন সে অস্ত্র তো তাদের হাতে। যেহেতু তারা প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিক হিসেবে ছাঁটাইয়ের অধিকার তাদের আছে।
‘কাজেই বিষয়টাকে অনমনীয় করে রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাংবাদিকরা। আমরা এজন্য দুই একটা বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে সমাধানটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের (সাংবাদিক) পক্ষ থেকে মামলা ঠুকে দিল। তাতে বিষয়টা জটিল হয়ে গেলো,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
জিসিজি/এমএ