ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মশা মারার সেই বিতর্কিত ওষুধ নিয়ে এবারও পরীক্ষা!

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
মশা মারার সেই বিতর্কিত ওষুধ নিয়ে এবারও পরীক্ষা! মশা

ঢাকা: আসছে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে ম্যালাথিয়ন ওষুধের পাশাপাশি গতবারের বিতর্কিত ডেল্টামেথ্রিন ওষুধ এবারও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা মূলত এডাল্টিসাইডের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি এবং লার্ভিসাইডের জন্য টেমিফস ওষুধ ব্যবহার করি। এর সঙ্গে এবার ডেল্টামেথ্রিন ওষুধ ব্যবহার করা হবে।

রোববার এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা জামাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, প্ল্যান্ট প্রটেকশন বিভাগের প্রতিনিধি এবং কীটতত্ত্ববীদ।

তিনি জানান, দুই ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। এতে করে মশারা দুইটি ওষুধই প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে। তখন আর কোনো ওষুধে কাজ হবে না।

কিন্তু ডেল্টামেথ্রিন ওষুধ নিয়ে গত বছর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘গত বছর এর কার্যকারিতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখেছি। এবার পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর কার্যকারিতা যাচাইয়ে ‘ফিল্ড’ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হবে। আমরা যে ওষুধ দিচ্ছি তা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কোনোভাবে যেন পরিবর্তন না হয় সেটি আমরা দেখব। ’

এসব ওষুধের পাশাপাশি এক ধরনের গ্র্যানিউলস নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা ছোট ছোট দানার মতো এক ধরনের কীটনাশক। কোথাও সচরাচর পানি জমে এমন স্থানে যদি এগুলোকে রাখা হয় তাহলে সেই পানিতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত এডিস মশার লার্ভার প্রজনন হবে না। এটার উপকারিতা এই যে, এটাকে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মেশালেও সমস্যা নেই, সেই পানি খাওয়া যাবে। এটা মানবদেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। ’

তবে এই গ্র্যানিউলসের এখনও নিবন্ধন হয়নি বলেও জানান মামুন। তিনি বলেন, ‘এটির এখনও নিবন্ধন হয়নি বলেই আমরা জানি। নিবন্ধন হলে এটি কেনার জন্য আমরা দরপত্র আহবান করব। স্বাভাবিক ক্রয় প্রক্রিয়ায় সেটি কেনা হবে। আমার মতামত, এটাকে দোকানে বিক্রির মতো সহজলভ্য করা যেতে পারে। এর ফলে ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এটাকে কিনে নিজেদের বাসাবাড়ির আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান যেখানে এডিস মশার লার্ভার প্রজনন হতে পারে বলে মনে হয় সেখানে প্রয়োগ করতে পারবে। ’

তবে যে ধরনের ওষুধই প্রয়োগ করা হোক না তার ফলাফল নিয়মিত বিশ্লেষণ করার কথা জানান এই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে ফলাফলের আলোকে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে তাও করা হবে বলে দাবি ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এসএইচএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।