বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদেশ মিশনে নিয়োজিত নারী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা, ভিয়েতনামে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ, নেপালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, মরক্কোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা, জর্ডানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, মরিশাসে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
মরিশাসে দায়িত্বরত রেজিনা আহমেদ কমোরোসে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশের নারী কূটনীতিক ইসমাত জাহান। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. শাহিদা আকতার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অতীতে বিভিন্ন সময়েও বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে নারী কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি। তা-ও আবার সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
নারী কূটনীতিকদের অগ্রযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা নারীদের প্রাধান্য দিতে চাই। সে কারণে বিভিন্ন মিশনে নারী কূটনীতিকদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ধারা আমরা অব্যাহত রাখব। এখন অনেক মিশনে নারী রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার রয়েছেন। । আগামী দিনেও বিভিন্ন মিশনে নারী কূটনীতিকদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রত্যাশা করি।
ড. মোমেন বলেন, অতি সম্প্রতি মধ্য প্রাচ্যের দেশ জর্ডানে একজন নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম কোনো নারী রাষ্ট্রদূতকে আমরা নিয়োগ দিয়েছি। আর এর মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত হয় আমরা নারী কূটনীতিকদের সামনে এগিয়ে দিতে চাই।
বাংলাদেশে নারী কূটনীতিকদের অগ্রযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রদূতের কাজে কোনো নারী বা পুরুষ নেই। এই পদে যে-ই আসুক, নারী বা পুরুষ, তাকে একই কাজ করতে হয়। তবে ফরেন সার্ভিসে এখন নারীরা আগের চেয়ে বেশি আসছেন। অনেক নারীই এই পদে খুব ভালো করছেন। আগামীতে আরও নারী কূটনীতিক আসবেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবেন বলেও প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
টিআর/টিএ