মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এ থার্মাল স্ক্যানার সচল করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও ইমিগ্রেশনে কর্মরত-কর্মকর্তাদের মাঝে।
বর্তমানে ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। ফলে এখানে করোনা সংক্রমণের বেশ ঝুঁকি রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে অপেক্ষারত এক যাত্রী জানান, দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে থার্মাল স্ক্যানারটি সচল হওয়ায় পাসপোর্ট যাত্রীদের দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্রা মল্লিক জানান, আগে থার্মাল স্ক্যানার নষ্ট থাকায় হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো। বর্তমানে থার্মাল স্ক্যানার সচল হওয়ায় পাসপোর্ট যাত্রীদের স্ক্যানিং এর মাধ্যমে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি কোনো বিদেশি যাএীর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে। এবং বাংলাদেশি হলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারত থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্ক্যানিং করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া দেশের ভেতর প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রচার-প্রচারণার মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৪ ঘন্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এমএইচএম