রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জ্বর-কাশিসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দুইঘণ্টা হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
স্বজনদের অভিযোগ, দুপুর ১টার দিকে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসক বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু বহির্বিভাগ থেকেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। অনেকক্ষণ হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে ছিলেন তিনি। পরে আবার বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার সময় তিনি মারা যান।
রোগীর বড় বোন জাহানারা বেগম বলেন, গত পাঁচদিন ধরে বাবুল জ্বর-কাশিতে ভুগছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জ্বর-কাশি শুনেই তাকে আর চিকিৎসা দেয়নি। দুই বিভাগে ঠেলাঠেলি করতে গিয়ে আমার ভাই মারা গেছেন।
তবে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, রোগী দেখার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অবেহলা হয়নি। প্রথমে তারা একজন মেডিক্যাল অফিসারের গিয়েছিলেন। রোগীর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে একজন সিনিয়র কনসালটেন্টের কাছে পাঠানো হয়। কনসালটেন্টের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ সঠিক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/