ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
মাগুরায় টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইন

মাগুরা: মাগুরা ভায়না এলাকার বাসিন্দা সুমি খাতুন। কম মুল্যে পণ্য কিনতে সকাল ১১টা থেকে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। মাথাপিছু চার কেজি পণ্য বিক্রির শর্ত থাকায় ছেলেকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি।

কিছু সময় অপেক্ষার পর মা-ছেলে মিলে ডাল, চিনি, তেল কিনেছেন। তাতে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় দুশো টাকার মতো।


 
শুধু সুমি খাতুন নন, ভায়না এলাকার বহু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন প্রতিদিন ভিড় করেন টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে। যদিও একসময় নিম্ন আয়ের লোকজন এসব পণ্য কিনতেন কিন্তু এবার করোনার কারণে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকেও টিসিবির পণ্য কিনতে দেখা গেছে।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাজারে সব দোকান বন্ধ থাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে পেরে অনেকের মুখে হাসি ফিরেছে।
 
টিসিবির তথ্য মতে, সারাদেশে করোনার ভাইরাসের কারণে জেলায় ৪টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ট্রাকে করে পণ্য বিক্রয় করা হয়।
 
মাগুরা, কেশব মোড়, ভায়না মোড়, নতুন বাজার, ঢাকা রোড, থানার সামনে, চৌরাঙ্গী মোড়, স্টেডিয়াম গেট, পুলিশ লাইন্স, পৌরসভার সামনে, জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) ভায়না এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির নিয়োগকৃত পণ্য বিক্রির ট্রাকে ক্রেতাদের বেশ ভিড়। কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পেরে খুশি তাদের অনেকেই।
 
রফিক ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে সব দোকান বন্ধ রয়েছে। তাই টিসিবির পণ্য কিনতে আসলাম। এখানে ডাল, তেল, চিন কিনতে পেরে আমি খুব খুশি। এ সময় চল্লিশোর্ধ এক নারী জানান, আমার স্বামী রিক্সা চালক। কয়দিন হলো করোনার কারণে রিক্সা চালাতে পারছেন না। সংসার চালাতে টানাপোড়ন লেগে গেছে। তাই তুলনামূলক কম মুল্যে পণ্য কিনতেই এখানে এসেছেন।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় লকডাউন চলছে। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের যাতে করোনার কারণে খাবার সংকট না হয় সেজন্য টিসিবি সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল, সয়াবিন, আলু দিচ্ছে।  

যত দিন করোনার প্রাদুর্ভাব না কমে তত দিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান ইউএনও।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।