ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বন্ধ কারখানা শ্রমিকদের বাসায় থাকতে হবে, পাবেন বেতন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
বন্ধ কারখানা শ্রমিকদের বাসায় থাকতে হবে, পাবেন বেতন

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে দেশের সব নিট কারখানাগুলো শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। 

বন্ধের এ সময়ে শ্রমিকদের স্ব স্ব বাসায় অবস্থান করতে হবে। আর পরিবেশ ভালো বা যাই হোক শ্রমিকরা যথাসময়ে তাদের বেতন পেয়ে যাবেন।

 

শনিবার (২৮ মার্চ) সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে এক বার্তায় শ্রমিকদের সুরক্ষায় পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।  

একইদিনে বিকেএমইএ সভাপতি সভাপতি সেলিম ওসমানও একইও আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে কারখানার অর্ডার বন্ধ আর শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এর পরদিনই সব নিট কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি।

বিকেএমইএ সূত্র বলছে, করোনা ভাইরাসের কারণে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই শ্রমিকের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখতে হবে।

বিকেএমহএ সভাপতি সেলিম ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, সবার মাঝে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা আমার শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবো। আমি বাসায় থেকে কারখানা চালাবো আর শ্রমিক এ অবস্থায় কারখানায় কাজ করবে এটা হয় না। বৃহস্পতিবার আমি বন্ধ রাখতে আহ্বান জানিয়েছিলাম আজ বন্ধ ঘোষণা করলাম।

তিনি বলেন, আমার অর্ডার বন্ধ হয়ে আছে। এ অবস্থায় কেন শ্রমিককে কারখানায় যেতে হবে? রাস্তায় একটা আতঙ্কের মধ্যে কারখানায় যাচ্ছে তারা। এটা হয় না।  

যথাসময়ে শ্রমিকেরা বেতন পাবেন কি না- জানতে চাইলে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, অবশ্যই পাবেন। এটা তো মানবিক কারণে হলেও বেতন দিতে হবে।  
তবে এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সবার উচিত ছিলো তখনই সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া। মাঝপথে কারখানা বন্ধের চেয়ে চালু রাখা ভালো ছিলো। শ্রমিকদের বাসায় একাধিক সদস্যের বসবাস। কার কাছ থেকে কে কখন আক্রান্ত হয় তা বলা যাচ্ছে না।  

সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বাসায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোরও দাবি জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০ 
ইএআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।