সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে উত্তরা হাউজিং কমপ্লেক্সের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, ট্রেনিং ম্যানুয়াল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস, দু’টি মোবাইল ও সহযোগী জঙ্গি সদস্যদের অনলাইনে অর্থ লেনদেনের প্রমাণ উদ্ধার করা হয়।
মুশফিককে আনসার আল ইসলামের অনলাইন ফাইন্যান্সার উল্লেখ করে র্যা-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দীন ফরুকী জানান, গত ৩০ জানুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জে ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে পৃথক অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য আটকের পর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুশফিককে নজরদারিতে রাখা হয়। সোমবার তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইসে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা ও তার সহযোগী সদস্যদের মাধ্যমে অর্থ সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিস্তারে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলো।
মুশফিক তার সহযোগীদের অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে উৎসাহ যুগিয়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানান মহিউদ্দীন ফারুকী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
পিএম/ওএইচ/