শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় কীর্তনখোলা নদীর ডিসিঘাট থেকে এই প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এসময় র্যাবের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
র্যাব-৮’র উপ-অধিনায়ক মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনার চলমান পরিস্থিতিতে নদীপথে বাইরের জেলা থেকে যাতায়াত করে বলে এটা ঠেকাতে তারা জেলার নদীপথে টহল অব্যাহত রাখবেন। এছাড়াও বিশেষ করে ঘাট এলাকাগুলোতে সর্তকতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে বরিশাল সদর ছাড়াও শনিবার সকাল থেকে জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা অভিযান চলেছে। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য সড়কপথে র্যাব, পুলিশসহ সশস্ত্রবাহিনীর তৎপরতার কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ নদীপথে ঝুঁকি নিয়ে লুকিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে বরিশালসহ দক্ষিণের জেলায় আসছে। যা এখানকার বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। প্রশাসন এসব ব্যক্তিদের সন্ধান পেলে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে বাড়ি লকডাউন করে দিচ্ছে। তবে নৌ-পথে অবাধ যাতায়াত রোধে নৌ-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পরেনি। আর এ অবাধ যাতায়াত রোধে আজ থেকে র্যাব উদ্যোগী হয়ে নৌপথে তাদের অভিযান শুরু করলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
এমএস/এমকেআর