ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষিণাঞ্চলে আসার সময় আটক ২৬১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
দক্ষিণাঞ্চলে আসার সময় আটক ২৬১ নৌ-পুলিশ।

বরিশাল: ঝুঁকি নিয়ে নদীপথে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে আসার সময় দুই দিনে ২৬১ জন শিশু, নারী ও পুরুষকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এছাড়া কয়েকজনকে স্ব-স্ব স্থানে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর আটকদেরও পর্যায়ক্রমে স্ব-স্ব স্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি বরিশালকে লকডাউন ঘোষণা করার পর জেলার নদীগুলোর সীমানা লাইনে নজরদারি আরো জোরদার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বরিশাল জেলায় প্রবেশের মুখে হিজলায় নৌ-পুলিশের অভিযানে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনে মোট ৯০ জনকে আটক করা হয়।

এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জে নৌ-পুলিশের অভিযানে মঙ্গলবার ১৭১ জনকে আটক করা হয়।

হিজলা নৌ-পুলিশের এসআই সঞ্জয় মণ্ডল জানান, তাদের আওতাধীন এলাকা থেকে আটক ১২ নারী ও ১২ শিশুসহ ৯০ জনকে হিজলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউনে থাকা বরিশাল জেলায় প্রবেশকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে স্ব-স্ব স্থানে নিয়মানুযায়ী পাঠিয়ে দেোয়া হয়েছে।

অপরদিকে মেহেন্দিগঞ্জ নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদি জামান জানান, মঙ্গলবার ভোলা থেকে ৯ নারী ও ৯ শিশুসহ ১৭১ জন যাত্রী একটি বাল্কহেডে করে ভোলা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার জন্য বরিশালের দিকে আসে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ইটভাটার শ্রমিক। তবে তাদের বাল্কহেডসহ আটক করে রাখা হয়েছে বুধবার (১৫ এপ্রিল) তাদের আবার ভোলার উদ্দেশ্যে ফেরত পাঠানো হবে।

নৌ-পুলিশ বরিশাল জোনের পরিদর্শক আবু তাহের জানান, বর্তমানে সড়ক পথে যাতায়াতে সুবিধা করতে না পেরে কেউ কেউ নৌ-পথ ব্যবহারের চেষ্টা করছে, অনেকেই ট্রলারসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌ-যানে ঝুঁকি নিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে করোনার সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সংক্রমণ রোধে নদীতে টহল বাড়ানো হয়েছে। যেখানে বরিশাল-মজুচৌধুরীরহাট রুটের দোয়েলপাখি-১ এবং পারিজাত নামক দু'টি লঞ্চে মেঘনা নদীর সীমানায় টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বুধবার থেকে এমভি শম্পা নামে আরো একটি লঞ্চের সহায়তায় টহল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে বরিশাল অঞ্চলের নৌ-পুলিশের এসপি কফিল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বরিশাল অঞ্চলের নৌ-পুলিশের ১৩টি ফাঁড়ি, ২টি থানার সব সদস্য তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া নদীতে স্পেশাল তিনটি টিম ভাসমান অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে। এক কথায় ১৮টিম সদা দায়িত্ব পালন করছে।

বরিশাল জেলায় আগতদের মধ্যে বেশিরভাগ ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বলে জানিয়ে তিনি জানান, বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণার পর এখানে যাতে কেউ প্রবেশ বা বের হতে না পারে সেজন্য নদীর সীমানাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত বরিশালে প্রবেশের সময় যারা আটক হয়েছেন তাদের স্ব-স্ব স্থানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।