রোববার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ।
তিনি জানান, জ্বর-সর্দি নিয়ে রোববার ভোরে উপজেলার গিদারী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে মারা যান এক যুবক (৩৩)।
অপরদিকে, সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন এক যুবক (২২)। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকেলে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহটি একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে দিনগত রাত ১১টার দিকে মরদেহটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
মারা যাওয়া ওই দুই যুবকের সংগ্রহ করা নমুনা সোমবার (২০ এপ্রিল) রমেক হাসপাতালের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে পাঠানো হবে। আর ওই দুই যুবকের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় ১৮৮ জন বেড়ে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে- সুন্দরগঞ্জে ৮৭, গোবিন্দগঞ্জে ২৮৫, সদরে ৩৪৪, ফুলছড়িতে ৩৬৮, সাঘাটায় ৪৪১, পলাশবাড়ীতে ২১ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩০৩ জন। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৮০ জন।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নে ঢাকা থেকে আসা এক ইটভাটা শ্রমিক ও ১০ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নে এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
এসআরএস