রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নমিতা পাল (৭২) নামের এক রোগী মারা গেলে তার তিন ছেলে নার্স ও আয়াদের মারধর করেন। শুধু মারধর নয়, সেবিকা কক্ষও ভাংচুর করেছেন তারা।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় নমিতা পালকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। করোনা পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনদের এমন আচরণে অবাক হয়েছেন চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা।
নমিতা পাল বাগেরহাট শহরের বনিকপট্টি এলাকার মনিমোহন পালের স্ত্রী।
মারধরে আহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিনারা খানম (৫৫), আয়া কোমেলা বেগম ও লাবনী বেগম। গুরুতর আহত মিনারা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমুায়ুন কবির বলেন, ৫টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় নমিতা পালকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খুবই খারাপ অবস্থা থাকায় আমরা নমিতাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে খুলনা নিতে অপরোগতা প্রকাশ করলে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করি। রোগীকে অক্সিজেনসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় রোগী মারা যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নমিতার ছেলেরা মারধর শুরু করেন। এ ঘটনায় আমাদের সহকর্মী সিনিয়র স্টাফ নার্স মিনারা খানম, আয়া কোমেলা বেগম ও লাবনী বেগম গুরুত্বর আহত হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই ভাংচুর ও মারধরকারীদের পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
এমএইচএম