রোববার (১৯ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুনের আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্রিমিন্যাল মিসকেস নং ০১/২০২০ ফৌ:কা:বি: ১৯০(১)(সি) ধারায় আমলযোগ্য মামলার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৪ নম্বর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘ চার বছর ধরে গরিব দুস্থদের জন্য সরকার নির্ধারিত খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের ১০ টাকা কেজিদরের সরকারি চাল উত্তোলন ও তা তালিকাভুক্ত দুস্থদের না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই সংবাদে জানা যায়, করোনা ভাইরাস দুর্যোগে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির খাদ্য সহায়তায় সরকারি উদ্যোগে গৃহীত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পর্যবেক্ষণকালে এই চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
হিসেব মতে, উল্লেখিত সময়কালে ৮শ কার্ডের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রায় ৬শ মেট্রিকটন সরকারি চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এটা একটি ফৌজদারী অপরাধ। ফলে উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক আগামী ০২-০৬-২০২০ তারিখের মধ্যে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর থানাকে নির্দেশ দেওয়া গেল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সদর উপজেলার ১৪ নম্বর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সরকারি চাল আত্মসাৎ করেছি বলে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ ছেপেছেন। পরে তারাই আবার আমার কাছে এসে মীমাংশা করে গেছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে তা জানিনা।
কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সরকারি চাল আত্মসাতের দায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ইস্যুকৃত আদালতের আদেশটি এখনও হাতে পাননি। হাতে পেলে আদালত নিদের্শিত প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
আরএ