বুধবার (২২ এপ্রিল) এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু বাংলানিউজকে জানান, চাল কম দেওয়ার অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওজন পরিমাপের মেশিন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ফরিদপুর পৌর সভার এক নম্বর (সাবেক) ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির শহরের গোয়ালচামট এলাকার খোদাবক্স রোডে ও রঘুনন্দনপুর গ্রামে কর্মহীন এবং হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার সময় বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ত্রাণের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পৌর এলাকার রঘুনন্দনপুরের কর্মহীন ও হতদরিদ্ররা অভিযোগ করেন, ত্রাণ বিতরণের শুরু থেকেই পৌর প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির প্রত্যেক পরিবারকে এক ও দুই কেজি করে চাল কম দেন। কিন্তু প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা ছিল।
শহরের গোয়ালচামটের খোদাবক্স রোড এলাকার বাসিন্দা ইছহাক বাংলানিউজকে জানান, প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির ত্রাণ বিতরণের চাল কম দেওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন ত্রাণ প্রত্যাশীরা। পরে খবর পেয়ে পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে প্রায় ৩০০ পরিবারকে এক থেকে দুই কেজি করে চাল কম দেন প্যানেল মেয়র জাকির।
শহরের গোয়ালচামট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মনির আরও অভিযোগ করেন, প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির ত্রাণ বিতরণের পর কমপক্ষে ১০ জনের চাল মেপে দেখেছি। তাদের ত্রাণের পাঁচ কেজি চালের মধ্যে প্রত্যেকের এক ও দুই কেজি করে কম ছিল।
ফরিদপুর পৌর সভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বাংলানিউজকে জানান, দিনব্যাপী ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের ৫৪টি স্থানে ৬২ মেট্রিক টন চাল ১২ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। যা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত।
তিনি জানান, ত্রাণের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের সবাইকে পাঁচ কেজি করে চাল দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
আরআইএস/