বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই যুবককে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, বুধবার রাতে উপজেলার ১২ নম্বর যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই যুবককে মারধর করা হয়।
মৃত যুবকের নাম জনি। তিনি একই গ্রামের বজলু রহমান শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের (১৬) সঙ্গে একই গ্রামের বজলু রহমান শেখের ছেলে জনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে বুধবার রাতে মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটি মোবাইলে কথা বলছিল। তখন মেয়েটির বাবা কামরুল পাশের ঘর থেকে বিষয়টি বুঝতে পারে। মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে সে প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করে। একপর্যায়ে মেয়েটি ছেলেটির নাম উল্লেখ করে বলে, তাকে প্রায়ই জনি মোবাইলে বিরক্ত করে। পরে মেয়েটির বাবা বিষয়টি পরিবারের সব সদস্যদের জানায়। সবার সিদ্ধান্তক্রমে মেয়েকে দিয়ে রাতেই ছেলেটিকে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করে হাত-পা ভাঙাসহ মাথা থেতলে দিয়ে গুরুতর আহত করে।
বিষয়টি ছেলেটির অভিভাবকরা জানতে পেরে আহত জনিকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে ছেলেটি মারা যায়।
এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা কামরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এনটি