তার স্থায়ী বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ভাঙ্গিরপাড়া গ্রামে। গত ২৭ এপ্রিল তিনি গ্রামে আসেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এই নিয়ে রাজশাহী জেলায় মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। যদিও তার মৃত্যু করোনায় হয়নি বলে পরের পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহীতে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এই ব্যক্তি মারা যান গত রোববার (২৬ এপ্রিল) প্রথম দফা নমুনা পরীক্ষায় করোনা ‘পজিটিভ’ ছিলেন তিনি। সে হিসেবে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রথম ব্যক্তি তিনিই। তবে এক সন্দেহ থেকে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য মৃত্যুর আগের দিন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী পরে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই ব্যক্তির ফুসফুসে পানি ও বাতাস জমায় চিকিৎসকেরা তাকে আর বাঁচাতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন রামেক অধ্যক্ষ।
এদিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) করোনা ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মোট ৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষ করা হয়। এর মধ্যে ত্রুটি থাকায় ৯টির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আর ৮৪টির রিপোর্ট এসেছে ‘নেগেটিভ’। শুধু রাজশাহীর দুর্গাপুরের এই ব্যক্তির নমুনায় করোনা 'পজিটিভ' এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানান, এ দিন দুর্গপুরের ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকি ২৮টি রিপোর্ট এসেছে 'নেগেটিভ'। আর শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি এখন বাড়িতেই থাকবেন। সেখানেই চিকিৎসা চলবে। তার বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন আর তার স্ত্রী কাজ করেন তৈরি পোশাক কারখানায়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আটজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন।
২৮ এপ্রিল একদিনেই চারজন শনাক্ত হন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জনে। এই ১২ জনের বাড়ি পুঠিয়া, বাগমারা, বাঘা, মোহনপুর, তানোর ও পবা উপজেলায়। সর্বশেষ দুর্গাপুর উপজেলাতেও করোনা শনাক্ত হলো। তবে রাজশাহী মহানগরী এবং জেলার গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
এসএস/এএটি