শনিবার (২ মে) রাতে এই বিষয়ে কথা হয় জেনেভা ক্যাম্পের ‘নন লোকাল রিলিফ কমিউনিটি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম সীমার সঙ্গে।
তিনি আরো জানান, আমাদের ক্যাম্পে আনুমানিক ৭ হাজার পরিবার বাস করে।
তিনি দাবি করেন, জেনেভা ক্যাম্পে 'ডি' ব্লকে একই পরিবারের দুই ভাই করোনা পজিটিভ নিয়ে মারা গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারা দুই ভাই করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রথম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখান থেকে এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে আসে জেনেভা ক্যাম্পে। পরে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ দিনের আগের ঘটনা। দু'জনই যুবক ছিল। মৃত্যুর পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং কয়েকদিন পরে জানানো হয় যে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।
জেনেভা ক্যাম্পে মোট পাঁচটি ইন-আউট গেট আছে। এদের মধ্যে দুটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তিনটি গেট সব সময় খোলা থাকে। যেখান দিয়ে ক্যাম্পের বসবাসকারীরা আসা-যাওয়া করে।
ক্যাম্পের বাসিন্দা সীমা আরো জানান, ক্যাম্পের ভেতরে আমাদের সবকিছু দৈনন্দিন বাজার বসে। এটা ক্যাম্পবাসীরা করে থাকে। তারাই বাইরে থেকে বাজার সংগ্রহ করে ভেতরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে থাকে। তা না হলে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের না খেয়ে মরতে হবে।
তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে কিছু সহযোগিতা আমরা বাইরে থেকে পেয়েছি। এনজিও, স্থানীয় কমিশনারসহ অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছে। এর মধ্যে আছে চাল ও শুধু আলু। আমরা এই পর্যন্ত দুই থেকে তিনবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের ক্যাম্পে 'সি ব্লক' এলাকার একটি বাসায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেই গলিটা লকডাউন করা হয়েছে। দুই পাশে বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে তবে সেই লোকটি এখন সুস্থ।
এসব বিষয়ে কথা হয় মোহাম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল আলীমের সঙ্গে। তিনি জানান, এপ্রিল ও মার্চ মাসে মিলে জেনেভা ক্যাম্পে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। এদের মধ্যে দুই ভাইও আছে। তবে তাদের মৃত্যু করোনা পজিটিভে এরকম প্রমাণ আমরা পাইনি। অনেকেই ব্রেন স্ট্রোক ও নানারকম অসুস্থতা নিয়ে মারা গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে ক্যাম্পের দুই বাসিন্দা করোনায় পজেটিভ এর প্রমাণ পেয়েছি। তাদের রুমের মধ্যে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। তারা এখন ভালো আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এজেডএস/এমএইচএম