বৃহস্পতিবার (০৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির পক্ষে আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু এ স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানে হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান মিরাজ, রুবিনা ইয়সমিন, ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাফিন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার থেকে বাংলাদেশ তথা বরিশাল মুক্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে সরকার একদিকে জনগণকে ঘরে থাকার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার উপদেশ দিচ্ছে। অপরদিকে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১০ মে বিপণি বিতানগুলো পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। লকডাউন যে উদ্দেশ্যে করা হয়, তার কোনোটাই দেশে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। যা বরিশাল জেলাতে পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি, মাস্ক ও হ্যান্ডওয়াশ প্রস্তুত এবং বিলি করার পাশাপাশি দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমাদের এ প্রয়াস মোটেই যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় মানব বিপর্যয়ের হাত থেকে বরিশালবাসীকে রক্ষা করে করোনা সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু দাবি তুলে ধরেছি এবং বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছি।
দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি দাবি হলো- দলীয় বিবেচনা না করে ত্রাণ চুরি কঠোর হস্তে দমন করে সরকারি ত্রাণ বঞ্চিত দরিদ্র মানুষের ঘরে অবিলম্বে তা পৌঁছে দেয়া, রেশন কার্ড বিতরণের তালিকা তৈরিতে দলীয়করণের নীতি রোধ করা, লকডাউন ও সাধারণ ছুটি চলকালীন সময়ে বাজার-দোকানপাটসহ সর্বত্র স্বাস্থ্যগত দূরত্ব ও লাকডাউন নিয়মবিধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এমএস/এইচএডি/